খোলা চিঠি
- উত্তম কে বড়ুয়া
ঈশ্বরদা তুমি কি আসলে
অদৃশ্য রূপে কোথায় কোন অবস্থায় আছো।
নাকি আমরা তোমার নামে
মানুষ কে মিথ্যে দোহাই দিয়ে ,
রাতকে দিন করি দিনকে রাত।
তাই বলি তুমি যদি সব কিছুর নিয়ন্ত্রক হয়ে থাকো ,
তবে অদৃশ্য রূপে আর না থেকে এবার দৃশ্যমান হও।
আমাদের কে সঠিক পথের সন্ধান দিয়ে দাও।
কারণ আমরা নিজের সার্থে
যে কোনো কিছু করতে পারি ,
তোমার নামে জেহাদি মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে ,
মানুষ হয়ে মানুষের রক্তের বন্যা ভাষাতে পারি।
কারণ এখন আমরা একজন অন্যজনের কাছে
কখনো নিরাপদ নই।
তাই আমি বিনম্র শ্রদ্ধায় নত হয়ে জানতে চাই,
তুমি কি কখনো তোমার সন্তুষ্টির জন্য,
মানুষকে দিয়ে মানুষের রক্তের পূজা চাও।
যদি চাও , তাহলে পৃথিবীতে
মানুষকে কেন সৃষ্টি করলে ,
ঈশ্বরদা তুমি কি ,
এখন খুব বেশি মানুষের রক্তের তৃষ্ণার্থ
নাকি আমরা তোমাকে,
ইদানিং তোয়াক্কা না করে
তোমার নামের দোহাই দিয়ে
আমরা এখন একজন অন্যজনের কাছে
নতুন সংস্করণের ঈশ্বর হয়ে যাচ্ছি।
ঈশ্বরদা তুমি যদি এভাবে অদৃশ্যমান থেকে ,
পৃথিবীতে হিংসাত্মক ধ্বংসাত্মক মারানত্মক
খেলা খেলতে দাও,তাহলে ,যারা তোমাকে
তোয়াক্কা না করে ,কাপুরুষের খেলা খেলছে।
তারা যে কোনো মুহূর্তে
নতুন ঈশ্বর বলে দাবি করতে একটু দ্বিধা করবে না।
তাই তোমার কাছে বাড়ে বাড়ে প্রার্থনা করি ,
বিশ্বশান্তি বিশ্বমৈত্রী বিশ্বসৌভাতৃত্তের জন্য
তাহলে তোমার হয়ে এমন একজন কে পাঠিয়ে দাও।
যে পারবে সম্পূর্ণ পৃথিবীকে
একটি দেশে পরিণত করতে।
যেখানে মুক্ত পাখির মতন
সমস্ত মানুষেরা সমগ্র পৃথিবীর
এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চষে বেড়াতে পারে।
যে পারবে পৃথিবীর সম্পূর্ণ মানুষের ভাষাকে
করতে পারবে এক।
যেমন হাসি এবং কান্নার ভাষার মতন।
যে পারবে সমগ্র বিশ্বের মানুষের ধর্মকে
একটি ধর্মে পরিণত করতে।
যে ধর্মে থাকবে শুধু
মানবতা নৈতিকতা এবং ভাতৃত্ববোধের পরিপূর্ণতা।
ঈশ্বরদা সত্যই তুমি যদি ,
কোনো অবস্থানে থেকে থাকো ,
তাহলে তোমার অদৃশ্য শক্তির বিনিময়ে
সম্পূর্ণ পৃথিবীটাকে নিচ্ছিন্ন করে দাও।
প্রয়োজনে আর একটি নতুন পৃথিবীর সৃষ্টি করো।
সেখানে নৈতিকতা মানবতা পরিপূর্ণ
এবং শান্তিপ্রিয় মানুষকে _
তোমার নতুন পৃথিবীতে স্থান দাও।
না হয় আমরা কখনো ধর্মের নামে ,
কখনো রাষ্ট্রের নামে , কখনো জাতির নামে,
কখনো দাদাগিরির নামে ,
হিংশ্র বন্যপশুর মতো ,
রক্তাত্ত খেলা খেলতে খেলতে ,
পৃথিবীটাকে মানবশূন্য করে ফেলবো।
(প্যারিস থেকে)
পরিচয়
- উত্তম কে বড়ুয়া
তোরা যে যা বলিস ভাই ,
পৃথিবীতে মানবতা এবং নৈতিকতা ভিন্ন কোন ধর্ম নাই।
অবশিষ্ট বহু সম্প্রদায়ের, বহু ইশতিহার এবং বিভিন্ন নীতিগত বৈষম্য,
সুতরাং মানবতা এবং নৈতিকতাবিহীন কখনো হয় না মানুষের কোন ধর্ম।
মানবতা ধর্ম মানে মানুষের মৌলিক চাহিদার জন্য প্রতি মুহূর্তে আছে সঙ্গে ,
মানবতার ধর্ম মানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হাসপাতাল জড়িয়ে রাখতে চাই সবার অঙ্গে।
মানবতার ধর্ম মানে রাতের পর ভোরের প্রস্ফুটিত আলো ,
মানবতার ধর্ম মানে একদিন না একদিন এই নীতি সবার লাগবে ভাল।
মানবতার ধর্ম মানে সাম্য মৈত্রী ভাতৃত্ত্বের পরিপূর্ণ দর্শন ,
মানবতার ধর্ম মানে দুঃখ কষ্ট যন্ত্রণা হতাশার এক ভার্সন।
মানবতার ধর্ম মানে অসাদাচার অনৈতিকতা শৃঙ্খলাহীন জীবন প্রবাহ নয় ,
মানবতার ধর্ম মানে লোভ লালসা অহিতকর কাজকে করতে হয় ভয়।
মানবতার ধর্ম মানে সত্য এবং বাস্তবতা সম্পর্কে পরিপূর্ণ জানা ,
মানবতা ধর্ম মানে অন্যের মানবিক অধিকার হরণ করতে একেবারে মানা।
মানবতার ধর্ম মানে মুক্তবুদ্ধির চর্চার স্বাধীন মত প্রকাশের মহাসূত্র ,
মানবতার ধর্ম মানে একজন মানুষ অন্যজন মানুষের পরস্পর সৌমিত্র।
মানবতার ধর্ম মানে মিথ্যের উপর প্রতিষ্টিত কোনো নিয়মনীতি নয় ,
মানবতার ধর্ম মানে ন্যায্য সত্য দিয়ে মানবতাকে করতে হয় জয়।
মানবতার ধর্ম মানে যাহা মানব কল্যাণকর তাহা হা বলতে করতে হয় সর্বদা ইচ্ছা।
মানবতার ধর্ম মানে কখনো ধর্মহীনতা কোনো নিয়মনীতি নয় ,
মানবতার ধর্ম মানে মানুষের নৈতিক শৃঙ্খলার সত্য দর্শনের আশ্রয়।
মানবতার ধর্ম মানে ঈশ্বর সৃষ্টির পূর্বে মানুষ পরিচয়ে ছিলাম যেমনি ,
এখনো আমরা মানুষ পরিচয়ে থাকতে চায় শতভাগ তেমনি।
(প্যারিস থেকে)
সাফল্যই
- উত্তম কে বড়ুয়া
সাফল্য এবং সফলতার জন্য ,
এগিয়ে যাও , কাউকে পেছনে ফেলে নয়।
অন্যের মেধাশ্রম অর্থের ধ্বংসের বিনিময়ে ,
কখনো হয় না সাফল্য কিংবা আত্মজয়।
যার কাছে কখনো সাফল্য সিঁড়ির প্রত্যাশায় ,
আত্মবিশ্বাস আত্মস্বপ্নের থাকবে না কোনো পরিকল্পনা।
তারা কিন্তু আজন্ম এগিয়ে যাওয়ার রাস্তা ,
বাধা বিপত্তি থাকবে দুঃখ কষ্ট এবং যন্ত্রনা।
অথচ শুধু পরিশ্রমের বিনিময়ে কখনো ,
সাফল্যের গন্তব্যে পৌঁছে যেত।
তাহলে গাধা হতেন পশুর রাজা ,
এতে হতেন সর্বজন স্বীকৃত।
তাই এগিয়ে যাওয়ার সাফল্যের সিঁড়ি পেতে ,
মেধাশ্রম পরিকল্পনা থাকা খুব প্রয়োজন।
অন্যথায় দেওয়ালের সাথে পিঠ ঠেকে যাবে ,
এতে বাস্তব সময়ের বাস্তবসত্য প্রকৃত উচ্চারণ।
কিন্তু কোনো মানুষ কাউকে ঠকিয়ে যদি কখনো ,
কেউ সাফল্যের গন্তব্যে পৌঁছার জন্য করে প্রস্তুতি।
তাহলে যে কোনো মুহূর্তé ফেড পরে ,
জানবে না সে কখন আসবে তার দুর্গতি।
সুতরাং সাফল্যের গন্তব্যে পৌঁছাতে হলে ,
মেধা শ্রম দক্ষতা পরিকল্পনার বিকল্প নেই।
উদ্দেশহীন জীবন নিয়ে রাষ্ট্র সমাজ পরিবারে ,
কখনো জীবন্ত লাশ হতে চাওয়া ভালো নয় তাই।
(প্যারিস থেকে )
কোথায়
- উত্তম কে বড়ুয়া
যদি পৃথিবীতে সত্য বলার ,
মানুষ গুলো যখন হতেন জন্মবধির।
তাহলে মানুষেরা হতেন না ,
নায্য কথার আস্ফালনের জন্য কষ্টে অধীর।
যদি মানবতা নৌতিকতার মানুষের দৃষ্টির সীমায় ,
ভালোমন্দ দেখেও অদেখার মতো হতেন জন্মাঅন্ধ।
অযোগ্য লোকের যোগ্যতম পদে দখল নেওয়া
এটা কখনো কেউ করতে পারবে না বন্ধ।
যদি শান্তিকামী মানুষেরা ক্রুশবিদ্ধ যীশুর ;
মুরালের মতো আজন্ম বোবা হয়ে থাকেন দাঁড়িয়ে।
তাহলে মৌলিক চাহিদা কিংবা চাকুরীর জন্য
দেশে কোথাও চিৎকার চেঁচামেচি করতেন না কেউ ফিরিয়ে।
যদি কেউ আঠের কোটি মানুষের হয়ে।
বিবেকের তাড়নায় সন্দর ভূখণ্ডের জন্য করে সমাবেশ।
তাদেরকে ভিন্ন ফাঁদে ফেলে সৃষ্টি করা হবে ,
নোংরা জলে মৎস শিকারির ন্যায় ব্যতিক্রম এক পরিবেশ ।
যদি কেউ মনের দুঃখে বনে গিয়ে
গৌতম বুদ্ধের মতন শান্তির সন্ধান খুঁজতে যায়।
তাহলে নির্জন বনেও সাম্প্রতিক কোথায় ও
এখন নিরাপদ নয় সন্ত্রাসীদের দখলদারিত্বের যন্ত্রনায়।
তবুও কেউ নিরাপত্তা এবং নির্জনতার সন্ধানে ,
শহর , গ্রাম ,পাহাড় যদি খুঁজতে গিয়ে হয় একাকার
কিন্তু তার প্রেক্ষাপটে শক্তপায়ে ঘুরে দাঁড়াতে হবে ,
মানবতা নৌতিকতার স্বপক্ষে বারবার।
(প্যারিস থেকে )
অবশিষ্ট
- উত্তম কে বড়ুয়া
সুজলা সুফলা বহুমাত্রিক বাংলাদেশ ,
যতই হচ্ছে বিজ্ঞানভিত্তিক উন্নতি।
ধর্মান্ধ ধর্মভীরু মানুষের প্রতিহিংসায় ,
দেশে যেকোন ক্রমান্বয়ে হচ্ছে শুধু অবনতি।
সম্প্রতি দেশে এখন মানবতা নৈতিকতা ,
কিন্তু আক্ষরিক শব্দপন্থী মাত্র।
অথচ দেশের স্বার্থ চায় না যারা ,
তারা ফতোয়া দে কতরকম বিচিত্র।
কিন্তু চারিদিকে ঘাপটি মেরে বসে আছে ,
দেশদ্রোহী নানা শ্রেণীর পঙ্গপাল।
সুযোগ বুঝে ধর্মের দোহাই দিয়ে ,
সহজ সরল মানুষকে দিয়ে করবে কিন্তু তালবেতাল।
অথচ দেশকে যারা ভালোবাসে ,
বিশ্বের কাছে তারা রাখতে চায় দেশের সুনাম।
কিন্তু দেশদ্রোহী মানুষেরা চায় শুধু ,
তারা বাঁচলে হবে কিন্তু , অন্যরা যাক জাহান্নাম।
তাই দেশে এখন চারিদিকে ধর্মের তুড়ি মারা
দেশদ্রোহী স্বাধীনতার বিরোধী শক্তির সংখ্যাগরিষ্ট
কিন্তু এখন সময়ের চাওয়া , যাহা আছে তা নিয়ে
মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে এগিয়ে যেতে হবে অবশিষ্ট।
(প্যারিস থেকে )
প্রতীক্ষা
- উত্তম কে বড়ুয়া
বিষাক্ত ভরপুর দু হাজার বিশ,
মানব ইতিহাসে কালো ভিন্নতর এক নাম ,
মৃত্যর মিছিলে অবিরাম দিচ্ছে শিষ,
কত প্রিয় জন হারানো ব্যথায় হতাশা হলাম।
তবু ও এই অস্থির সময়ে প্রত্যেকে লড়াই করে চলছে ,
কিন্তু এই লড়াই অদৃশ্য শক্তির সাথে লড়াই ,
আমাদের জীবন এখন কুপির আলোর মতন জ্বলছে ,
কেউ এখন জীবন নিয়ে পারবে না করতে কিঞ্চিৎ বড়াই।
তবুও সুন্দর পৃথিবী থেকে কেউ অসময়ে চায় না বিদায় ,
অথচ যারা করবে এই মৃত্যুর ব্যাধির সমাধান ,
কিন্তু তারাও সাম্প্রতিক অদৃশ্য রজার কাছে বেকায়দায়,
তাই এখন জীবন মৃত্যুর নেয় কোনো ব্যবধান।
তবে আগামী সুন্দর সকালের সবাই আছে প্রতীক্ষায়
ভোরের সূর্যের আলোর মতন সর্বাধি বাঁচার প্রত্যাশায়।
(প্যারিস থেকে )
বিভ্রান্তি
- উত্তম কে বড়ুয়া
যে মানুষ কথায় কথায় ধর্মের ফিরিস্তি-দেয়,
সে কখনো সত্যের সাথে আপোস করে না |
যে তথাকথিত ধর্মাজ্ঞ অন্যদের শোনার প্রয়াসে,
যত সুন্দর গুছিয়ে মাহফিল মাহত করে |
আসলে নিজের জীবনে কিংবা আচরনে ,
যা বয়ান করে , তাহা করে না বিন্দুমাত্র অনুসরন |
যে রাজনৈতিক নেতা ভোটে জেতার পূর্বমুহূর্তে ,
যত বেশি প্রতিশ্রুতি দেয় -
আসলে ভোট জেতার পর সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রেক্ষাপট।
যে পুরুষ পৌরষত্ব প্রকাশের জন্য
মেঘের গর্জনের মতন বাড়ি শুদ্ধ মাথায় তুলে ,
আসলে সে কিন্তু স্ত্রীর কাছে ভেজা বেড়াল।
যে নারী মাত্রাধিক গ্যারান্টি দিয়ে স্বপুরুষকে
ভালোবাসার গল্প শুনায়।
সে কিন্তু একই অভিনয় বহু পুরুষের সাথে করে।
যে মানুষ মুখের সত্য কথা আদিপান্তর বলে ফেলে।
সে কিন্তু ক্ষেপা হিসেবে অভিযুক্ত।
যে মানুষ অতি ভক্তি এবং অতি শ্রদ্ধায় অবনত
সে কিন্তু যেকোনো মুহূর্তে ক্ষতি সাধনের অপেক্ষায়।
যে মানুষ কুসংস্কার ধর্মান্ধতার আস্ফালনে ,
মুক্তমনা মানুষকে কাফের নাম ফতোয়া দেয় ,
সে কিন্তু তার সাথে আঁতাতের এক পায়ে দাঁড়ানো।
আসলে সম্প্রতি যে যতই বলুক মানবতা নৈতিকতা।
ন্যায় নিষ্ঠা মুক্তবুদ্ধির চর্চার কথা।
কিন্তু সাধারণ মানুষ ততই ধর্মের আশ্রয়ে
বুঝে কিংবা নাবুঝে মোহগ্রস্থ।
সুতরাং বিভ্রান্তি ধর্মান্ধ কুসংস্কারের জোয়ারে।
মুক্তমনা মানুষেরা থমকে দাঁড়িয়ে !
কেবলই ছুতে যেতে চায়।
পৃথিবীর সমস্ত মানুষের কল্যানে
মানবতা নৌতিকতা সৌভাতৃত্বের সংমিশ্রনে
একাকার হয়ে যেতে চায়।
অন্যথায় ভাইয়ের রক্তে ভাইয়ে সিক্ত হয়ে ,
একদিন এই সুন্দর পৃথিবী
মানবশূন্য হয়ে যাবে।
(প্যারিস থেকে )
ফেসবুক
- উত্তম কে বড়ুয়া
যদি ফেইসবুক মানুষের সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যম হয়।
তবে কেন বন্ধুত্বের আহবান জানিয়ে
আপন আইডি খোলা রাখা নয়।
যদি ফেসবুকে নিজের পরিচয়
ভুয়া ভ্রান্তি পরিপূর্ণ থাকে।
তাহলে ধরে নিতে হবে উৎশৃংখল
কোন কাজে সে নিজেকে লিপ্ত রাখে।
অথচ ফেসবুকে কত ভালো-মন্দ
ঘটনা-অঘটনার কত সংবাদ পাই।
এখন ফেসবুক মানুষের জীবনে
অঙ্গাঅঙ্গি জড়িত কিন্তু তাই।
ফেসবুকে কত অবহেলিত গায়ক লেখক
হয়েছে সেলিব্রিটি কিংবা প্রতিষ্ঠিত।
ফেসবুকের বদৌলতে সৎ যোগ্য ব্যক্তিকে
কারো কাছে করতে হয় না মাথা নত।
ফেসবুকে যার যার মত প্রকাশের
যুক্তিপূর্ণ থাকে অবাধ স্বাধীনতা।
আবার ফেসবুকে চলে
খারাপ মানুষের বিজয় বারতা।
ফেসবুকে লাইক শেয়ারে ।
কত নিরহ মানুষের হয় উপকার।
কিন্তু ফেসবুকে হ্যাকারের হাতে পড়ে
কত মানুষের জীবন হয় ছারকার।
ফেসবুকে মানুষের কামনা-বাসনা
সাবধানতার ভালো-মন্দের প্ল্যাটফর্ম।
ফেসবুকে নানা প্রলোভনে পড়ে
তার মাঝে বিরাজ করে বিভিন্ন রকম জারম ।
(প্যারিস থেকে)
প্রজ্ঞা
- উত্তম কে বড়ুয়া
আমরা এখন পৃথিবীতে
এক একজন আজব মানুষ।
প্রকৃত ধর্মচর্চা এবং জ্ঞানবিহীন
কুসংস্কার ধর্মান্ধতার উড়াই ফানুস।
অথচ ধর্ম কখনো কোনো মানুষকে
হতে বলেনি ধর্মের জন্য উদ্মাদ।
আমরা তো ধর্মের গভীরে না গিয়ে
একে অপরের সাথে করছি বিবাদ।
যদি প্রজ্ঞাকে ধারণ করে
ধর্মকে করি প্রকৃত চর্চা।
তাহলে কখনো আমরা থাকবো না
ধর্মের জ্ঞানের অবুজ শিশুর মতো বাচ্চা।
আসলে ধার্মিক হওয়ার আগে
নৈতিকতা মানবিকতাকে ধারণ করতে হবে ।
না হয় কুসংস্কার অন্ধবিশ্বাসের বেড়াজালে
মানুষের মাঝে আজীবন টিকে থাকবে।
এখন সময় চলছে বিশ্বের মাঝে
ধর্ম দিয়ে গরীবকে গরীব রাখার ফন্ধি।
যাহাতে জ্ঞান-বিজ্ঞানের অধিকারী না হয়ে
ধর্মের বেড়াজালে চিরদিন থাকে যেন বন্দি।
তাই যদি প্রকৃত ধার্মিক হতে চাই কখনো
বিভিন্ন জ্ঞান-বিজ্ঞান প্রজ্ঞাচর্চার প্রয়োজন বিশেষ
না হয় কুসংস্কার ধর্মান্ধতা আচ্ছন্ন থেকে
মানুষ কিংবা ধার্মিক হওয়ার নেই কোনো উন্মেষ।
(প্যারিস থেকে)
শূন্যতা
- উত্তম কে বড়ুয়া
শূন্যতা আমাকে করেছে
বড্ড বেশি একাত্বিতা।
জীবনে সাজানো বাগানে
সবকিছু যেন নীরবতা।
আকাশের দিকে তাকালে মনে হয়
মেঘহীন ঝরছে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি।
পৃথিবীতে যেন আর কখনো
নতুন কিছু হবেনা সৃষ্টি ।
কোন আকর্ষণে পৃথিবীতে
দীর্ঘজীবী হয়ে বাঁচার স্বাদ জাগে
যদি ভালোবাসা শ্রদ্ধার সীমারেখা
কোন রূপ না থাকে ত্যাগে।
পৃথিবীতে প্রেম প্রীতি ভালোবাসা
যদি হয় শব্দ পংঙতি মাত্র ।
তাহলে লায়লা মজনু চন্ডীদাস রজকিনী
কখনো প্রাণ দিতনা যত্রতত্র।
অথচ মানুষ কয়টা দিন আছে
এই নরশ্বর সুন্দর পৃথিবীতে।
কার কখন যেতে হবে
তা কিন্তু জানা নেই সে ভিন্নজগতে।
কিন্তু ভালোবাসা কখনো
ভাগের বস্তু নয়।
অর্থ দিয়ে প্রেম প্রীতি ভালোবাসার
কখনো কি তা মাপকাঠি হয়।
তাই ভালবাসা বিহীন
শূন্যতা নিয়ে দীর্ঘজীবীর কি প্রয়োজন
অর্থ প্রতিপত্তির চাওয়া পাওয়ার জন্য
যদি জীবনের সবকিছু হয় আয়োজন।
(প্যারিস থেকে)
- উত্তম কে বড়ুয়া
এমন কিছু চাই
আমি আমার সত্ত্বাকে
বিসর্জন দীতে একেবারে নারাজ,
সেজন্য মাঝে মাঝে বিদ্রোহী হয়ে যাই।
আমার কষ্ট এবং দুঃখ যন্ত্রণা কে
চেপে রাখার একেবারে অসম্ভব।
সে জন্য প্রত্যেক মানুষের মনুষত্ববোধকে
বের করার সংগ্রাম করি।
চারিদিকে মানুষ গুলো যেভাবে
পদ-পদবী চেয়ার দখলের পায়তারা
তাই ক্রমান্বয়ে আমরা বেসামাল হয়ে যাচ্ছি।
অথচ যারা এগুলো পাওয়ার যোগ্য
তাদেরকে আমরা কবির গানের
দোহারি বানাতে চাই।
আমি যোগ্য ব্যক্তির যোগ্য পাওনার জন্য
তাদের স্বপক্ষে থাকতে চাই।
আমি কখনো পরশ্রীকাতর নিন্দুক
হিংসুটের সাথে পথ চলতে চাই না।
আমি প্রতিটি সময় খুঁজে ফিরি
সাম্য মৈত্রী সৌভাতৃত্বের আত্মনিয়োগী
এক একজন প্রকৃত মানুষ।
যদি কেউ প্রকৃত মনুষ্যত্বকে ধারণ না করে
কখনো কোন মানবপুত্র
নিজ স্বার্থে কি দাম্ভিকতা কি চেয়েছে
কিন্তু তা কেন আমরা ধারক হবো।
অথচ যার এক ডাকে দেশ হয়েছে স্বাধীন
এমন মানুষকে চাই এমন কিছু চাই ,
যেখানে মানবতা নৈতিকতা থাকবে
চারদিকে টইটুম্বুর।
অন্যথায় একে অপরের কাছে
অনিরাপত্তায় থাকতে থাকতে
সবাই মানসিক রোগী কিংবা
জটিল রোগের রোগী হয়ে যাব।
(প্যারিস থেকে)
| নির্ধারণ |
- উত্তম কে বড়ুয়া
বায়ান্নের ফেব্রুয়ারি একুশের এই দিন ,
ভাষা শহীদের কাছে আজন্ম শেষ নেই আমাদের ঋণ।
পৃথিবীতে বাংলা ভাষার যত দিন টিকে থাকবে ,
এইধারা বংশপরম্পরায় তাদের কথা মনে রাখবে ।
যারা দেশ এবং ভাষা রক্ষার জন্য দিয়েছে প্রাণ,
বিনম্র শ্রদ্ধা ভালোবাসায় পরিপূর্ণ থাকবে তাদের সম্মান ।
অথচ যাদের রক্তের বিনিময়ে ,এখনো ঐতিহ্য চর্চা করতে পারি ,
তারা যদি রক্ত না দিতো বাংলার মানুষ গাইতে পারতেন না জারি-সারি ।
কিন্তু তাদের রক্তের ইতিহাস জ্বলজ্বল করতে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ,
তা না হলে মাকে মা বলার অধিকার রক্ষার পেতাম না কোনো পরিবেশ ।
তবে যারা দেশ এবং ভাষার জন্য বুলেটের মুখে দিয়েছে তাজা রক্ত ,
সেই রক্তের ধারায় স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে আনতে সবাইকে করেছে শক্ত ।
বায়ান্নের একুশ কিন্তু স্বাধীনতা এবং বিজয় দিবসের মাইল ফলক,
কিন্তু সেই রক্তের তরঙ্গে একাত্তরে পেয়েছে স্বাধীনতার সূর্যের ঝলক ।
যদি দেশ এবং ভাষাকে যারা করতে চাই বিতর্কিত,
তারা কিন্তু মীরজাফর এবং রাজাকারের প্রেতাত্মা রূপান্তিত ।
অথচ এখনো যারা দেশের স্বাধীনতা এবং ভাষা নিয়ে ষড়যন্ত্র লিপ্ত ,
তাদের শরীরে গোলামীর রক্ত দ্বারা হবে না কখনো বিলুপ্ত ।
তাই বাংলার মানুষকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ,তাদেরকে করতে হবে অবাঞ্চিত ,
রাজনৈতিক ইস্যুর চাইতে দেশ বড়, এটাই করতে হবে নির্ধারিত ।
(প্যারিস থেকে)
বাসযোগ্য
- উত্তম কে বড়ুয়া
আমি কিন্তু খুবই দুঃখ যন্ত্রনায় কষ্ট পাই
কোন মানুষের অসহায়ত্বে।
যদি দেখি কখনো কোন মানুষের
অবহেলায় দুঃখের সাগরে ভাসতে।
তাই প্রত্যেকে জানাতে চাই
তাদের প্রতি সহমৌমিতার হাত বাড়াতে।
যদি কখনো কোন পুরুষ
পৌরুষত্ব নিয়ে নাপাড়ে চলতে।
কিংবা যদি কোন নারী অবহেলায়
কষ্ট যন্ত্রনার সাগরে হাবুডুবু খেতে।
অথবা তৃতীয় লিঙ্গের কোন মানুষ
কারো করুনার পাত্র হতে।
আমি চাই প্রত্যেকের জীবনে ঝামেলা বিহীন
নির্ঝঞ্জাট সুন্দর জীবন পেতে।
যেখানে সবার মাঝে থাকবে শুধু
মৈত্রী ও শুভাতিত্বপূর্ণ স্নেহের বন্ধন।
কোথাও যাহাতে দেখা না যাই
কষ্ট দুঃখ যন্ত্রণাই ক্রন্দন ।
তাই আমি প্রতিটি মানুষের কাছে চাই
মানবতা এবং নৈতিজ্ঞতার বিচরণ ক্ষেত্র।
তাহলে আমরা আগামী প্রজন্মের জন্য
বাসযোগ্য ভূমি পাবো পৃথিবীর যত্র তত্র।
(প্যারিস থেকে)
পড়শি
- উত্তম কে বড়ুয়া
কিন্তু কাহাকে ভালো বলি
আমার পরশে তিনি এক নিতান্ত শ্রদ্ধাভাজন
তিনি বড় ভালো লোক ছিলেন।
কখনো চলার পথে বেতিক্রম দেখলে,
তিনি অন্য পথে ছুটে যেতেন।
অকারণে অযাচিত কোন দুর্ভিত
কোন মানুষকে রক্তাত্ত করে মুমূর্ষু করলে
তিনি কখনো কিন্তু চোখ তুলে থাকতেন না।
তিনি বড় ভালো লোক ছিলেন,
অথচ আমার পাড়ার খেপা
সে তো যে কোন কাজে আগ বাড়িয়ে ছুটে আসে বলেই
কোন বিষয়ে, চুপ থাকা তার স্বভাবের মধ্যে পরে না বলেই
পাড়াপ্রতিবেশী সবাই তাকে কালো তালিকায় রাখে
তবুও সে যে কোন মানুষের বিপদের কথা শুনে ছুটে আসে।
হাসপাতাল, থানা পুলিশ সবখানে খেপা ।
অথচ আমার পড়শী নিতান্ত শ্রদ্ধাভাজন
কিন্তু তিনি বড় ভালো লোক ছিলেন।
যেহেতু খেপা আগবাড়িয়ে ছুটে আসে বলেই
প্রয়োজনে হাসপাতাল পুলিশ স্টেশন সবখানে খ্যাপা থাকে।
তথাপি যদি আসে পাশে কোন অঘটনের জন্য দায়ী
সবার চোখ বন্ধ করে বলে এটা খেপাদের কাজ
তাই পুলিশের খাতায় নামটা যাই খেপার
আমার পড়শী তিনি এক নিতান্ত শ্রদ্ধা ভাজন
কিন্তু তিনি বড় ভালো লোক ছিলেন।
কিন্তু খেপাড়া সবার বিপদে থাকলেও
কেন জানি কালো তালিকা ভুক্ত
সবার চোখে সে একজন।
(প্যারিস থেকে)
তোমাকে
- উত্তম কে বড়ুয়া
ল্যুভর মিউজিয়ামের লিওনার্দের মোনালিসা
আমার চোখ এবং মন ভরে না।
কেবল সে ছবির মাঝে মনের কল্পনায়
কোথায় যেন কি খুঁজে পাইনা
অথচ তার চাইতে তোমার তুলনায়
তোমাকে শুধু অসাধারণ মানায়।
অথচ দশ হাজার কিলোমিটার দূরত্ব থেকেও
তোমাকে প্রতি মুহূর্তে দেখি হৃদয়ের আয়নায়।
যদি কখনো দৈবক্রমে পৃথিবী থেকে
বিলুপ্ত প্রাণীর মত হারিয়ে যাও।
তবু তোমাকে আমি খুজে নেব
শত জন্মে জন্মন্তরে তাও ।
কিন্তু শারীরিক দূরত্বে তোমার আমার
অনেক অনেক কিলোমিটার ব্যবধান ।
তাই নিঃশ্বাসে বিশ্বাসে ছায়ার সাথে
প্রতি মুহূর্তেই আছে হৃদয়ের আদান-প্রদান ।
সুতরাং আমার একাকীত্বতায় এবং শূন্যতায়
হঠাৎ নাকের ডগায় কখনো আসে তোমার ঘ্রাণ ।
আমি সেই ঘ্রানে মহিমায়
তোমার ভালোবাসায় বাঁধা থাকবে মন এবং প্রাণ।
(প্যারিস থেকে)
:সিদ্ধান্ত:
- উত্তম কে বড়ুয়া
আমি তো সৎ যোগ্য সন্তান
হতে পারিনি তোমার,
যদি সৎ যোগ্য সন্তান হতাম
গায়ে লাগতো আমার।
এখনো যে ভিন্ন কৌশলে তোমার শরীরে
ওরা খামচাখামচি করছে ,
তোমাকে এখনো মৌল বাদী বিচ্ছিন্ন
দেশে পরিণত করতে ওরা চাচ্ছে।
যাদের বাপ-দাদা ছিল না কখনো
স্বাধীনতা কিংবা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে,
এখনো কিন্তু তারা সেঁজেছে
তোমার খাঁটি সন্তান তোমার বক্ষে।
যারা একদিন বঙ্গবন্ধুকে
কাফের বলতে করেনি কখনো দ্বিধা ,
কিন্তু তারা কিংবা তাদের রক্ত ,
কখনো হবে না জন্মের মতো সিদ্ধা।
অথচ ধর্মকে রাজনীতির সাথে
মিশিয়ে খেলছে সাপলুডুর খেলা
ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন ওরা
মনে করে বাচ্চাদের রঙ্গরসের মেলা
অথচ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের
গণতন্ত্রের প্রজন্মরা এখন সব বুঝে গেছে।
মৌলবাদী দেশ হিসেবে পরিচয় পাক
চাইবে না ওরা বিশ্ববাসীর কাছে।
এখন সময় এসেছে থমকে দাড়ানো
তোমার সম্ভ্রম রক্ষার রুখে দাঁড়াতে
প্রয়োজন শুদ্ধি অভিযানে যাবে
মানবতা ও নৈতিকতা গণতন্ত্র রক্ষা করতে।
(প্যারিস থেকে)
স্বীকারোক্তি
- উত্তম কে বড়ুয়া
আমি যদি প্রকৃত দেশদ্রোহী হয়ে থাকি,
আমাকে নির্বাসন না দিয়ে প্রয়োজনে ক্রসফায়ার দাও।
তবু আমি আশ্রয়হীন পরবাসী হতে চাইনা।
আমার জন্য বহুমাত্রিক বাংলাদেশ ,
তৃতীয় বিশ্বের নথিভূক্ত হয়েছে পরিণত
যদি আমার জন্ম না হতো
তাহলে হা পিতাস করতাম না
আঠার কোটি মানুষের মৌলিক চাহিদার জন্য
চাহিতাম না শিক্ষা চিকিৎসা
চাকুরী খাবার কিংবা প্রকৃত বাসস্থান
তাই আমি বলছি আমি অপরাধী
আমাকে নির্বাসন না দিয়ে প্রয়োজনে ক্রসফায়ার দাও।
তবুও আমি পরবাসী হতে চাই না।
অথচ যদি পঞ্চান্ন হাজার বর্গমাইলের
সীমারেখায় আমার জন্ম না হতো
তাহলে গ্যারান্টি দিয়ে বলা যেত
রবীন্দ্র সোনার বাংলায় সোনা ফলতো
শেখ মুজিবের জয় বাংলার প্রকৃত জয় হতো।
কিন্তু নবাব সিরাজউদ্দৌলার কণ্ঠের মতো
যদি বলি কে শুনাবে আসার বাণী।
যেখানে দুর্নীতি এবং সন্ত্রাস রক্তের সাথে
যেখানে ধর্মের নামে হত্যা নারী ধর্ষণ হয়।
যেখানে আগামী প্রজন্মের বাসযোগ্য গ্যারান্টি কোথায়
তাই গ্যারেন্টির জন্য করজোড়ে ক্ষমা চেয়ে বলছি
একাত্তরের স্বাধীনতার মত
আবার জনসংখ্যা প্রতিরোধ বিপ্লবে রুখে দাঁড়ান।
তাই আমি নেপোলিয়নের কথা ভিন্ন ভাবে বলতে চাই
প্রত্যেক জনসংখ্যা রোধ করে
একটি সুশিক্ষিত প্রকৃত আগামী নাগরিক দাও।
আমরা তোমাদের বাসযোগ্য
একটি পঁচান্ন হাজার বর্গমাইলের
বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দেশের একটি দেশ দেব।
অন্যথায় আমি যদি দেশ দ্রোহী হয়ে থাকি
আমাকে নির্বাসন না দিয়ে ক্রসফায়ার দাও
তবুও আমি পরবাসী হতে চাই না।
(প্যারিস থেকে)